এ মধু পূর্ণিমার দিনে বুদ্ধপূজাসহ পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, মধুদান, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা ,এবং নানাবিধ মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তারা বুদ্ধানুস্মৃতি ও সংঘানুস্মৃতি ভাবনা করে। বিবিধ পূজা ও আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিবিধ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। বৌদ্ধবিহারগুলোতে বুদ্ধের মহাজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনাসহ ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয়।
দিনভর বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা দিনটি পালন করে থাকলেও বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার এ উৎসবটি অনাড়ম্বরভাবে উদযাপন করা হবে। আয়োজন শুধু বুদ্ধপূজা, মহাসংঘদানের মতো আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকবে বলে এই ধর্মাবলম্বীরা জানিয়েছেন।
তাৎপর্যময় দিনটি পালনে নগরীর নন্দনকাননস্থ চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার, কাতালগঞ্জ নবপন্ডিত বিহার, দেব পাহাড় পূর্ণাচার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার, মোগলটুলী শাক্যমুণি বিহার, চান্দগাঁও সার্বজনীন শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহার, চট্টগ্রাম বন্দর বৌদ্ধ বিহার ছাড়াও পটিয়া, বোয়ালখালী, কদুরখীল, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, রাঙ্গুনীয়া, রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, মিরসরাই, বাঁশখালী, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কঙবাজারসহ দেশের সকল বৌদ্ধ বিহারে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ভোরে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, সূত্র পাঠ, সকালে বুদ্ধপূজা, ভিক্ষুসংঘকে পিন্ডদান, অষ্টশীল ও পঞ্চশীল গ্রহণ, মধু দান, দুপুরে ধর্মালোচনা ও মধু পূর্ণিমার তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা, সন্ধ্যায় প্রদীপ পূজা ও বিশ্ব শান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা।
আসুন সকলে মিলে এ দিনটিতে শীল, সমাধী প্রজ্ঞার অনুশীলন করে এ দুলভ’ মানব জীবনকে সার্থক করে তুলি।
সকলের জয় হোক, সকলের মংগল হোক।।
Facebook Comments