সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১, ০১:০৫ অপরাহ্ন
শ্রাবন্তী বড়ুয়া (নীপা)
এক বর্ষা যাপন করেন বুদ্ধ পারুলেয় বনে
বনের রাজা পারুলেয় হস্তী ছিলো তাঁর সনে।
বন থেকে শুষ্ক কাঠ জোগার করে,
আগুন জ্বেলে দিত,
ফলমূল আর জল এনে, আহার যোগাত।
দিবারাত্রি পাহারা দিত
হিংস্র পশু থেকে রক্ষা করার জন্য,
নানা ভাবে করত পূজা,
হলেও পশু, জীবন হল ধন্য।
বিশাল হাতির মানব পূজা দেখে একটি বানর,
কৌতুহলী হল ভীষণ,জানার জন্য কারণ!
ব্যাপারটা কি? ব্যাপারটা কি?
কিছুই তো বুঝছিনা!!
ছোট্ট একটা মানুষকে কেন
রাজা করছে পূজা?
নিশ্চই তিনি নন সাধারণ, হয়ত মহামানব!
তাইতো রাজা করছে প্রণাম,
ঠিক বুঝছিনা তার কারণ!
আমিও যদি করতে পারতাম
একটু সেবা তাঁর,
ধন্য হয়ে যেত তবে,
এই জীবন আমার!
কি দান দেবে ভেবে ভেবে
বানর হল দিশাহারা!
সারা বনে খুঁজে খুঁজে
হল পাগলপারা।
হঠাৎ দেখল গাছের ডালে,একটা মৌচাক,
অমনি সেটা পাড়ল গিয়ে,
তাকে ধরল ঘিরে মৌ মাছিদের ঝাঁক।
পড়িমরি করে ছোটে নিয়ে মৌয়ের চাক
পিছু ধাওয়া করল তাকে,মৌ মাছিদের ঝাঁক।
অনেক কষ্টে পৌঁছল সে
গৌতম বুদ্ধের কাছে,
বলল-“প্রভু ইহা গ্রহণ করুন,
এতে খাঁটি মধু আছে। ”
বানরের শ্রদ্ধাচিত্ত দেখে ভগবান,
সানন্দে গ্রহণ করে,মধু করলেন পান।
এই দৃশ্য দেখে বানর মহাখুশি হয়ে,
এক গাছ থেকে আর গাছে যায়
করতালি দিয়ে।
হঠাৎ একটি শুকনো গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে,
মৃত্যু বরণ করে বানর, আনন্দিত মনে।
বানরের এই আত্নত্যাগ স্মরে বিশ্ব বৌদ্ধবাসী
মধু সহ দান করে নানান ভেষজ্যাদি।
এই দিনটির নাম হল তাই
‘শুভ মধু পূর্ণিমা ‘
জয় হোক মানবতার,ঘুচুক কালিমা।
Facebook Comments