সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১, ০১:২৭ অপরাহ্ন
সেঁজুতি বড়ুয়া। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাকেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন আবৃত্তি, নাচ-গান ও উপস্থাপনা। রাঙামাটি বেতারে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন ৭ বছর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তিমঞ্চের সাংগঠনিক সম্পাদক তিনি। লিখেছেন : মোবারক আজাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
সেঁজুতির জন্মস্থান চট্টগ্রাম শহরে। গ্রামের বাড়ি পটিয়া উপজেলায় হলেও তাঁর বেড়ে উঠা রাঙামাটিতে। বাবা সত্যজিত বড়ুয়া পেশায় প্রকৌশলী। মা মুন্নি বড়ুয়া গৃহিণী। দুই বোনের মধ্যে সেঁজুতি বড়।
দ্বিতীয় শ্রেণি থেকেই মায়ের ইচ্ছাতেই সাংস্কৃতিক জগতে পা বাড়ান সেঁজুতি। বাবা তখন কবিতা লিখতেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মা-বাবার সান্নিধ্যে সেঁজুতি ক্ল্যাসিক্যাল ও রবীন্দ্র সংগীত শুরু করেন। ধীরে ধীরে নিজের ভালো লাগার জন্যই গান করেন তিনি। এভাবেই নাচ-গান, আবৃত্তি ও মডেলিং নিয়ে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে তাঁর বিচরণ বাড়তে থাকে।
২০১০ সালে রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি এবং ২০১২ সালে রাঙামাটি সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন সেঁজুতি। অষ্টম শ্রেণিতেও বৃত্তি পেয়ে মেধার স্বাক্ষর রাখেন।
২০১৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাকেটিং বিভাগে ভর্তি হন। প্রথম বর্ষে প্রথমে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন তিনি। অন্যদিকে রাঙামাটিতে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথমবারের মতো স্কুলে আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় প্রথম হন। এর পর রাঙামাটি বেতারে ছড়াগান, রবীন্দ্র ও লোকগান করেছেন।
২০০৫ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় রাঙামাটি বেতারে গোষ্ঠীভিত্তিক ছোটদের অনুষ্ঠানগুলো উপস্থাপনা শুরু করেন সেঁজুতি। কলেজে পড়া অবস্থায় প্রায় সাত বছর রাঙামাটি বেতারে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। ওই সময় রাঙামাটির স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় গানে ও কবিতায় অংশ নিয়ে জিতেছেন পুরস্কার। জীবনে প্রথম উপার্জন ছিল ইউনিসেফের একটা অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দুই বছর পর ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তিমঞ্চে যোগ দেন।
বর্তমানে এই সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়সহ শহরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন। বিভাগ ও আবাসিক হলে বড় সড় কোনো অনুষ্ঠান হলে নাচও করেন। আর তাঁর নিজের আবাসিক হল প্রীতিলতার প্রোগ্রামগুলোতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে একাধিকবার পুরস্কার পেয়েছেন। বিভাগের ফ্যাশন শো-তেও অংশ নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বার্ষিক প্রতিযোগিতায় একাধিকবার প্রীতিলতা হলের প্রতিনিধি হয়ে উপস্থাপনা করেছেন।
২০১৭ সালে ‘সময় লাইফ স্টাইল’ নামে একটি ম্যাগাজিনে পোশাকের মডেলিং করছেন। পরবর্তীতে অনলাইন শপের ড্রেস ও জুয়েলারিরও মডেল হয়েছেন। সেঁজুতি বলেন, ‘এ মডেলিং অনেক পরিচিতি এনে দিলেও কোনো পেশাগত উদ্দেশ্যে নয়, একান্তই শখের বশে করেছি।’ এছাড়া কর্মশালা করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত আবৃত্তি সমন্বয়ক পরিষদ থেকেও।
সুত্র: কালের কন্ঠ
Facebook Comments