রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২১, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ভিড় জমতে শুরু করলো সঙ্গীতপ্রেমীদের। মুক্তমঞ্চের সামনের খালি চেয়ারগুলো ক্রমশ ভরে গেল শিল্পী, কবি, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষে। মুখরিত হলো পুরো শিল্পকলা প্রাঙ্গণ।
সন্ধ্যা সাতটায় মঞ্চে এলেন শিল্পী বৈশাখী বড়ুয়া। সঙ্গে তার সহ যন্ত্রশিল্পীরা। শিল্পী বরুণ বিকাশ বড়ুয়ার পরিচালনায় শুরু হয় একক সঙ্গীতানুষ্ঠান।
‘মাগো আর তোমাকে’ গান দিয়ে শুরু হলো বৈশাখীর পরিবেশনা। প্রথম গানেই বাজিমাত। মায়াবী কন্ঠের জাদুতে মুগ্ধ করলেন উপস্থিত সবাইকে। এরপর একে একে গাইলেন ‘মায়াবতী মেঘে এলো তন্দ্রা’, ‘চোখের পাতায় রোদের ঝিকিমিকি’, ‘যারে উড়ে যারে পাখি’, ‘ও বাঁশি কেন গায়’, ‘তুমি না হয় রহিতে’, ‘ওগো বৃষ্টি আমার’, ‘মধু মালতী’। চর্চিত কণ্ঠ, শৈল্পিক গায়কীতে প্রতিটি গানেই ছিল শিল্পী সাবলীল। দশর্কদের ভালোবাসায় বৃহস্পতিবারের (০১ মার্চ) সন্ধ্যাটি হয়ে উঠলো বৈশাখী বড়ুয়ার। আর তার সুরেলা কণ্ঠজাদুতে মুগ্ধ শিল্পকলা ভর্তি সঙ্গীতপ্রেমীরা।
এ সংগীতানুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক মনোজ সেনগুপ্ত। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক অনুপ কুমার বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তী, অধ্যাপক ড. অর্থদর্শী বড়ুয়া, জিটিভির ব্যুরো চিফ অনিন্দ্য টিটো, আরটিভির ব্যুরো প্রধান সরোয়ার বাবু ও আকবর শাহ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উৎপল বড়ুয়া।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রবীণ নাট্যকর্মী উৎপল বড়ুয়া, অধ্যাপক অজিত কুমার দাশ, গীতিকার জিকে দত্ত, শিল্পী হিল্লোল বড়ুয়া, তাপস বড়ুয়া। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন বরুণ বিকাশ বড়ুয়া ও অনুপ্রভা বড়ুয়া লীনা।
মনোজ সেনগুপ্ত বলেন, বৈশাখীর কণ্ঠে সত্যিকারের শিল্পীর ছাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রতিটি গানেই তিনি সাধনার ছাপ রেখেছেন। এটি একজন শিল্পীর বড় সার্থকতা। তার একাগ্র সাধনার এ পথচলা একদিন তাকে এনে দেবে সফলতা। সুরের জাদুতে স্থান করে নেবে সঙ্গীতজগতে।
Facebook Comments